কর্ণাটকের পর এবার উত্তপ্ত তামিলনাড়ু। কাবেরী নদীর পানি বন্টন ইস্যুতে শুক্রবার তামিলনাড়ুতে হরতাল পালিত হচ্ছে। কৃষক ও ব্যসায়ী সংগঠনের ডাকা হরতালে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাস্তায় বেসরকারি যানবাহন নেই, সরকারি যানও সংখ্যায় কম। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, দোকানপাট ও বেসরকারি অফিস।
একাধিক জায়গায় রেল লাইনে বিক্ষোভ দেখানোয় ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচলও। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে সামিল হন হরতাল সমর্থনকারীরা। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও কাবেরীর পানি পাননি তারা।
হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। শুধু চেন্নাইতেই মোতায়েন হয়েছে ১৫০০ পুলিশকর্মী। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ও অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে)-এর সদস্যরা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো আজকের এই হরতালকে সমর্থন জানিয়েছে ডিএমকে, পিএমকে, সিপিআইএম, কংগ্রেস, তামিলনাড়ু মানিলা কংগ্রেসসহ বিরোধী
প্রসঙ্গত, কাবেরী পানিবন্টন ইস্যুতে কর্ণাটক তামিলনাড়ুর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত কর্ণাটককে ১২ হাজার কিউসেক পানি দিতে হবে তামিলনাড়ুকে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরই গত এক সপ্তাহ ধরে কর্ণাটকে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। বিক্ষোভে দুই জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রায় কয়েক হাজার কোটি রুপির সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া পরিস্কার জানিয়ে দেন, তামিলনাড়ুকে এতটা পানি দেয়া সম্ভব নয়। এতে রাজ্যের চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা