ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। একইসঙ্গে লোহিত সাগরে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে তা ডুবিয়ে দিয়েছে তারা। গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ জোরদারের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হুথি গোষ্ঠী।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা একটি ‘গুণগত সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, বিমানবন্দরের দিকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে, হুথিদের হামলায় লোহিত সাগরে ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিসের পরিচালিত এবং লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘ইটারনিটি সি’। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নাবিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা। জাহাজে থাকা ২৫ জনের মধ্যে ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, ১১ জন এখনো নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ছয়জন হুথিদের হেফাজতে রয়েছে।
হুথি মুখপাত্র সারি জানিয়েছেন, উদ্ধার করা কিছু নাবিককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ইয়েমেনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একে ‘অপহরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, হুথিরা নাবিকদের হত্যা করেছে এবং উদ্ধার তৎপরতায় বাধা দিয়েছে।
‘ইটারনিটি সি’-তে হামলার এক দিন আগেই হুথিরা ‘ম্যাজিক সিজ’ নামক আরও একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে সেটিও ডুবিয়ে দেয়। তবে ওই জাহাজের সব নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই ধারাবাহিক হামলার পর হুথিরা ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলি মালিকানাধীন বা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো জাহাজ এখন থেকে তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। গাজার ওপর আগ্রাসন ও অবরোধ যতদিন চলবে, ততদিন লোহিত ও আরব সাগরে ইসরায়েলি নৌ-চলাচল বন্ধ রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
সূত্র : আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ