লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ক্ষেপণাস্ত্র ও চালকবিহীন নৌকা দিয়ে জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটি থেকে ১০ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) সংস্থার তথ্য অনুসারে, সোমবার গ্রিস পরিচালিত, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘ইটারর্নিটি সি’ ২৫ জন ক্রু সহ হামলার শিকার হয়। মঙ্গলবারও আক্রমণ অব্যাহত ছিল। হামলার দু’দিন পর বুধবার জাহাজটি ডুবে যায়।
ইরান-সমর্থিত হুতিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল বলেই তারা ইটারর্নিটি সি জাহাজে আক্রমণ করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য- গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং সামরিক আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
হুথি গোষ্ঠী এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে ইটার্নিটি-সি জাহাজে হামলার পুরো দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে নাবিকদের সরে যাওয়ার জন্য টেলিফোন কল এবং জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে বিস্ফোরণের দৃশ্যও দেখানো হয়েছে।
এদিকে ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস হুথিদের বিরুদ্ধে ইটার্নিটি-সি থেকে বহু সংখ্যক নাবিককে অপহরণের অভিযোগ এনেছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটির ক্রুদের মধ্যে ২১ জন তাদের নাগরিক ছিলেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজন রুশ নাগরিক যিনি আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন এবং একটি পা হারিয়েছেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী, গ্রিক-পরিচালিত আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ, ‘ম্যাজিক সিজে’তে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজ ডোবালো হুথিরা।
আল মাসিরা টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুথি মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি ঘোষণা করেন, ম্যাজিক সিজ জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রের গভীরে ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার হুথিদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা জাহাজটিতে উঠে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন এবং এর ফলে জাহাজটি ডুবে গেছে।
ম্যাজিক সিজের ২২ জন ক্রুকে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার করেছে। সূত্র: বিবিসি, এপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ