গাজার সব ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এই উদ্যোগকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোকে উদ্ধৃত করে বুধবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ জানান, তিনি রাফাহ শহরের ধ্বংসাবশেষের ওপর একটি ‘মানবিক শহর’ গড়ে তুলতে চান। তার ভাষায়, ওই শহরে প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করতে পারবে। যদিও এই প্রকল্পটি পুরো ২১ লাখ গাজাবাসীর জন্য তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি ব্যক্তিকে নিরাপত্তা তল্লাশির মাধ্যমে শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে যেন নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা হামাসের কর্মী নয়। শহরের ভেতরে আনার পর তাদের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।’’
মানবাধিকার সংস্থার নিন্দা
ইসরায়েলি মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল স্ফার্ড এ পরিকল্পনাকে ‘‘মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পরিকল্পিত অভিযান’’ বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গাজার দক্ষিণে জনগণকে জড়ো করা হচ্ছে যেন তাদের উপত্যকার বাইরে জোরপূর্বক পাঠানো যায়।’’
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘ আগেই সতর্ক করেছে, অধিকৃত ভূখণ্ডের বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক স্থানান্তর বা নির্বাসন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ‘‘জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য’’ বলেও উল্লেখ করেছে।
তবে এ নিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আশিক