এশীয় উপমহাদেশে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে দীপু মণি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং এই উপমহাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীদের যেকোন তৎপরতা ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে’।
দীপু মণির অভিমত, এই সমস্যা নিরসনে ভারত এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করলে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশেরই সাফল্য রয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ঢাকা বরাবরই অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশেন ফ্রন্ট অফ অসম (আলফা)-র অনুপ চেতিয়া, অরবিন্দ রাজখোয়া, শসধর চৌধুরী, চিত্রবাণ হাজিরাকা, অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (এটিটিএফ)-এর রঞ্জিত দেববর্মা এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (এনএলএফটি)-এর বিশ্বমোহন দেববর্মা সহ একাধিক সন্ত্রাসী নেতাকে আটক করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে’।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে দীপু মণি বলেন ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন ঘরে বসেই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। দেশের মানুষ এখন না খেতে মারা যায় না, মানুষকে এখন খালি গায়ে থাকতে হয় না, আমাদের শিশুদেরকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে, প্রায় ৩০ টির রোগের ক্ষেত্রে শিশুদেরকে বিনামূলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, সকলকে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিসেবা সহায়তা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়াতেও বাংলাদেশের এই উন্নয়ন যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে’।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ