দক্ষিণ চীন সাগরের বুকে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে চীনের যাতায়াত আটকাতে হলে যুদ্ধে নামতে হবে আমেরিকাকে। শুক্রবার চীন সরকার পরিচালিত সংবাদপত্রে এমনই মন্তব্য করলো বেইজিং।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গত বুধবার আমেরিকার নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব রেক্স টিলারসনের মন্তব্যের জবাব দিতেই সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে বেইজিং। সেদিন মার্কিন সিনেটে তার কনফার্মেশন হিয়ারিং এ টিলারসন বলেন, "বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের আধিপত্য মেনে নেওয়া যায় না।"
তার এই মন্তব্যের পর এদিন চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বীপপুঞ্জে চীনের গতিবিধি রুখতে হলে আমেরিকাকে বড় ধরণের যুদ্ধে নামতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের এলাকা থেকে কোনও বিশাল পরমাণু শক্তিধর দেশকে উত্খাত করার আগে নিজের পরমাণু নীতিকে মজবুত করা উচিত টিলারসনের।'
আমেরিকান কর্পোরেট সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান টিলারসন সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'সন্দেহ করা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র সচিব পদে বসতে সেনেটরদের সমর্থন আদায়ের জন্য চিনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা প্রচার করছেন টিলারসন।'
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চল শাসন করতে কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে চিন। এই নিয়ে বেইজিংয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম ও ব্রুনেই। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের বাণিজ্যপথ নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন আমেরিকাও চীনের সমালোচনায় মুখর হয়েছে।
আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনকালে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে নিয়মিত টহল দিয়েছে মার্কিন বিমান ও নৌসেনা। স্বাভাবিক ভাবেই তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। এবার হোয়াইট হাউসের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে চীনের যাতায়াত নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে এক কথায় হুমকিই দিল বেইজিং।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৪