প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর স্টেরয়েডযুক্ত ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি করতে পারবে না কোনও ওষুধের দোকান। করলে জেল-জরিমানা দু’টোই হবে। ভারত জুড়ে এবার এই নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে ‘ড্রাগ কন্ট্রোল’।
গত এপ্রিলে দিল্লিতে ‘ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই)-র সঙ্গে দেখা করেন ডার্মাটোলজিস্টদের জাতীয় সংগঠন ‘আইএডিভিএল’-এর টাস্ক ফোর্স ‘ইততসা’-র সদস্যরা। স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিমের অপকারিতা নিয়ে একটি ‘প্রেজেন্টেশন দেখান। তারই জেরে ডিসিজিআই সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিমকে বিপজ্জনক ‘সিডিউল এইচ ড্রাগ’-এর পর্যায়ভুক্ত করে। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোন ওষুধের দোকান প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ধরনের ক্রিম বিক্রি করতে পারবে না। শুক্রবার কলকাতায় এসে এমনটাই জানালেন ইততসা-র চেয়ারম্যান ডা. শ্যাম বর্মা। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যগুলি এখনও ‘ডিসিজিআই’-এর বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেনি।
এই আক্ষেপ নিয়ে শনিবার কলকাতার রাজপথে নামলেন দেশের তাবড় ডার্মাটোলজিস্টরা। গুজরাটের ডা. যোগেশ মারফত্তি থেকে হায়দরাবাদের রাজিতা দামেসেত্তি। কলকাতার ডা. কৌশিক লাহিড়ি থেকে ডা. অভিষেক দে। সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম ব্যবহার নিয়ে। জানালেন, ফর্সা হওয়ার ক্রিম বলে বাজারে যা বিক্রি হয় তার একটা বড় অংশে রয়েছে বিপজ্জনক স্টেরয়েড। যা ত্বকের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে। পুড়িয়ে দিতে পারে মুখ। অথচ, বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে মেয়েরা ওষুধের দোকান থেকে এই ক্রিম কিনে দেদার মাখছে। তারপরই বদলে যাচ্ছে।
এদিন সায়েন্স সিটি থেকে বোটিং ক্লাব ঘুরে মিলন মেলা পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। তাতে শামিল হন টলিউড তারকারাও। অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও ঐন্দ্রিলা সেন এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সোহিনী জানালেন, “একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কোন ক্রিম স্টেরয়েড যুক্ত, কোনটা নয় তা জানা সম্ভব নয়। তাই, সিডিউল এইচ পর্যায়ভুক্ত স্টেরয়েড-ক্রিমের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।”
ঐন্দ্রিলা জানালেন, “অবিলম্বে আইন করে এই ধরনের বিপজ্জনক ক্রিমের উৎপাদন ও বিক্রি ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। অভিনেত্রীদেরও উচিত এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে নিজেদের বিরত রাখা।”