চীনকে লক্ষ্য করে সমুদ্র উপকূল জুড়ে সাজানো হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর নিউকক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন আইএনএস চক্র। বিশ্বের অন্যতম দ্রুত সাবমেরিন এটি, যা রাশিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে। আর চীনের নিউক্লিয়ার সাবমেরিনকে মুখের উপর জবাব দিতেই ভারতের গোয়া উপকূলে সাজানো হচ্ছে এই আইএনএস চক্র। আর এ কারণেই ভারত মহাসাগরে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। খবর কলকাতানিউজ টোয়েন্টিফোর এর।
কেবলমাত্র চীন নয়, পাকিস্তানি সাবমেরিনকেও যাতে ধ্বংস করে দেওয়া যায় তার জন্যই শুরু হচ্ছে বিশেষ এই নৌমহড়া। 'ট্রপিক্স ২০১৭' নামের এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ভারতের অন্তত ৬০টি কোস্ট গার্ড ভেসেল। আর তাই যদি হয় তাহলে এটিই হবে পশ্চিম উপকূলে সর্বকালের বৃহত্তম মহড়া।
জানা গেছে, এই মহড়ায় সুখোইকে শত্রুবিমান হিসেবে কল্পনা করে আক্রমণে যাবে অন্যান্য যুদ্ধবিমানগুলি। অন্যদিকে শত্রুপক্ষের ছদ্মবেশে থাকা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হবে ব্রহ্মোস সহ একাধিক ক্রুজ মিসাইল। ৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুপক্ষের জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারবে এমন সব প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও এই মহড়ায় যুক্ত হচ্ছে নতুন রিফুয়েলিং ট্যাংকার। সমুদ্রের উপরে দীর্ঘক্ষণ যুদ্ধ চালাকালীন যাতে জ্বালানির অভাবে বসে যেতে না হয় তার সব ব্যবস্থাই এখন রয়েছে ভারতের।
এছাড়া এক নতুন বাহিনীও তৈরি করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আমেরিকার ঢঙে ভারতে তৈরি হচ্ছে ‘থিয়েটার কমান্ড’। শীঘ্রই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সামনে পেশ করা হবে সেই বাহিনীর প্রেজেন্টেশন। যার প্রত্যেক কমান্ডে থাকবে একজন কমান্ডারের অধীনে থাকবে আর্মি, এয়ারফোর্স ও নেভীর সেনারা। দেশের তিন বাহিনীর মধ্যে সংযোগ আরও বাড়াতে এই থিয়েটার কমান্ড তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেনাবাহিনীতেও একই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিশেষ কমান্ডের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানা গেছে, গোটা দেশকে চার থেকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হবে। প্রত্যেকটি অঞ্চলের জন্য থাকবে একটি করে কমান্ড। সেই কমান্ডের পরিচালনা করবেন কোনও সিনিয়র মিলিটারি অফিসার, তিনি যেকোনও একটি বাহিনী থেকে হতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৮