মুসলিম অধ্যুসিত সাত দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আপিল আদালত। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর করার পথ বন্ধ হলো।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। মূলত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মতভাবে ওই স্থগিতাদেশই বহাল রাখলেন। এর ফলে মুসলিম অধ্যুসিত দেশগুলোর জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে কোনো বাধা থাকলো না।
বিচারকরা তাদের রায়ে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের জাতীয় নিরাপত্তা ও তাদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নীতি নির্ধারণী ক্ষমতা নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ রয়েছে, তবে একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কারো সফর থাকবে অবাধ সেটাও এ দেশের নাগরিকরা চায়। যাতে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, আর তারা কোনও বৈষম্যের শিকার না হন।
জনগণের প্রত্যাশাকে এর চেয়ে সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন নেই জানিয়ে রায়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশেই বহাল থাকবে।
কেন্দ্রীয় আদালতের এই সিদ্ধান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য একটি বড় চপেটাঘাত বলেই মত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে এখনো হাল ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে শেষ লড়াই পর্যন্ত দেখে নেবেন এমন হুমকিই দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় আদালতের সিদ্ধান্ত জানার পরপরই এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আদালতেই দেখা হবে... দেশের নিরাপত্তা এখন দারুণ ঝুকিতে।’
বিডি প্রতিদিন/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এনায়েত করিম