রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জের ধরে সিরিয়ায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থার গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রয়োজনে সিরিয়ায় আরো সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে। আর এ নিয়ে জাতিসংঘেও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ আর নিরস্ত্রীকরণ ব্যাপকভাবেই জাতীয় নিরাপত্তার সাথে জড়িত। আমেরিকা এটাই শুধু নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যেন কখনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করেন।
এদিকে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ মানোশিন বলেছেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরো কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ার ইদলিব শহরে রাসায়নিক হামলার জের ধরে সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও, সিরিয়ার কোনো সরকারি ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা এই প্রথম। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। শুক্রবারের ওই অভিযানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে ওই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন দাবি করে নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ায় একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সাফ্রোনকভ বলেছেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদেরই উৎসাহিত করছে।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট