কসাইখানা বন্ধ হওয়া নিয়ে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। এমন হানাহানি বন্ধ চান তিনি। একইসঙ্গে দেশ জুড়ে কসাইখানা বন্ধ করতে আইন করারও দাবি জানিয়েছেন মোহন।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেই বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু সে নির্দেশের জেরে প্রায় সব ধরনের কসাইখানাই বলা যায় বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগ, এর জেরে লাইসেন্স থাকা কসাইখানাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়েই তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। কিছুদিন আগেই দাদরি কাণ্ডের স্মৃতি উসকে গো-রক্ষকদের হাতে নিৃগহীত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। প্রাণও হারিয়েছেন একজন। এ ব্যাপারেও আজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোহন ভাগবত। তার মতে, কসাইখানা নিয়ে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা বন্ধ হওয়া উচিত। তবে সেই সঙ্গে তার দাবি, দেশ জুড়ে বন্ধ হোক কসাইখানা। আর তার জন্য আনা হোক বিশেষ আইন।
শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, বিজেপি শাসিত আরও বেশ কিছু রাজ্যে বন্ধ হয়েছে গো-হত্যা। এর মধ্যেই গুজরাটে আবার গো-হত্যার সাজা বেড়ে হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গো-রক্ষায় বিজেপি সভ্য-সমর্থকরা যে স্বমহিমায় অবতীর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। কেননা একদিকে যখন বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি গো-হত্যা নিষিদ্ধ করছে, তখন উত্তর পূর্বের রাজ্যের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। এদিকে কেরলের এক বিজেপি নেতা বলেছিলেন, ভোটে তাকে জেতালে তিনি সকলকে উত্তম গোমাংস খাওয়ার বন্দোবস্ত করে দেবেন। বেফাঁস মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন ওই নেতা। এরপর অবশ্য নিজের অবস্থান বদলে ফেলেন তিনি। কটাক্ষ করে বিরোধীরা বলেন, বিজেপির কাছে গরু কোথাও ‘মাম্মি’ তো কোথাও কোথাও কোথাও ‘ইয়াম্মি’। এই ইস্যুতে তাই যে খানিকটা স্ববিরোধ আছে, তা আঁচ করেই এবার আইন করে গো-হত্যা বন্ধের দাবি তুললেন ভাগবত।
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোহন ভাগবতকেই রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চেয়েছিল শিব সেনা। যদিও সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এক কংগ্রেস নেতাও তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার দাবি তোলেন। প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন তিনি। যদিও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসার এখনও কোনও ইঙ্গিত দেননি ভাগবত। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ