ভারত ও পাকিস্তানের শত্রুতার প্রভাব যেন শাংহাই সমবায় সংগঠনে (এসসিও) না পড়ে। নতুন দুই সদস্য দেশকে সতর্ক করে জানাল সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ চীন। চীনের সহকারী বিদেশমন্ত্রী কং জুয়ানইউ বলেছেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তান সদস্যপদ পাওয়া এসসিও–র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমরা খুশি।’
চীন প্রভাবিত এই সংগঠনের সদস্যপদ আগেই পেয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসসিও–র হেডকোয়াটার্সে পতাকা তুলে দু’দেশকে বরণ করা হয়। ভারতের হয়ে চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বিজয় গোখলে এবং পাকিস্তানের চীনা রাষ্ট্রদূত মাসুদ খালিদ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জুয়ানইউ আরও বলেন, ‘এসসিও–র সনদে একটি জায়গায় বলা হয়েছে কোনও দ্বিপাক্ষিক শত্রুতা যেন সংগঠনে আনা যাবে না। আশা করি দু’দেশই এই নিয়ম মানবে।’ তিনি আরও বলেন, দব দেশের মধ্যেই কোনও না কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য থাকে। তবে এটা সহযোগিতার মঞ্চ। এটা যেন খেয়াল রাখা হয়।
৮ ও ৯ জুন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিও–র পূর্ণ সদস্য দেশ হয় দিল্লি এবং ইসলামাবাদ। ভারত এবং পাকিস্তানের আগে আট সদস্যের এসসিও-এর পূর্ণ সদস্য দেশ ছিল চীন, রাশিয়া, কাজাখিস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান। আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া এসসিও-এর পর্যবেক্ষক দেশ। বদলাবদলির নিয়মে এ বছর কাজাখিস্তানের কাছ থেকে চীন এবার প্রেসিডেন্সি অর্থাৎ নির্বাহকের দায়িত্ব পেয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৪