লোহিত সাগরের দুটো দ্বীপ সৌদি আরবকে দেয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয় মিশরের। বাদশাহ সালমানের গত বছরের মিশর সফরের সময় এ চুক্তি সম্পাদিত হয়।
এবার প্রেসিডেন্ট সিসি সেই চুক্তি অনুমোদনের পর প্রতিবাদকারীরা বলছেন, তিনি সৌদি সাহায্যের লোভে জায়গা 'বেঁচে' দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে মিশরের সংসদ ঐ চুক্তি অনুমোদন করে। এখন সেটি অনুমোদন করেছেন মিশরের সাবেক সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি।
কিন্তু এই চুক্তি নিয়ে মিশরে বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট সিসি সৌদি সাহায্যের লোভে দেশের জায়গা 'বেঁচে' দিচ্ছেন। সেই সাথে শুরু হয়েছে আইনি লড়াই।
মিশরের একটি আদালত সৌদি আরবের কাছে দ্বীপ হস্তান্তরের চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। তবে অন্য আরেকটি আদালত চুক্তিকে বৈধ বলে রায় দেয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন মিসরের সাংবিধানিক আদালতের কাছে। তারা এখনো কোনো রায় দেয়নি।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট সিসি বলছেন, দ্বীপ দুটোর প্রকৃত মালিক সৌদি আরব। ১৯৫০ এ সৌদিরা তাদের প্রতিরক্ষায় মিশরকে ওই দুই দ্বীপে সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছিলো। এখন শুধু সৌদি আরবের দ্বীপ তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
তবে বিরোধীরা বলছেন, যেহেতু ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মুরসির সরকারকে সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাতের পর থেকে সৌদি আরব জেনারেল সিসিকে সমর্থন করে আসছে, সে কারণে সৌদিদের খুশি করতে সংবিধান লঙ্ঘন করছেন প্রেসিডেন্ট।
কেন লোহিত সাগরের এই দুই দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ?
-সানাফির এবং টিরান নামে এই দ্বীপ দুটি খুব কাছাকাছি। এগুলোর মধ্যে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার।
-টিরানের অবস্থান আকাবা উপসাগরের ঠিক মুখে। এলাকাটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোহিত সাগরে প্রবেশের জন্য ইসরায়েল এটি ব্যবহার করে।
-বেসামরিক লোকজন দ্বীপ দুটিতে বসবাস করে না। মিশরের সৈন্য এবং বহুজাতিক শান্তিরক্ষীরা এখানে মোতায়েন।
-ইসরায়েল ১৯৫৬ এবং ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দুবারই দ্বীপ দুটি দখল করে। পরে আবার মিশরকে ফিরিয়ে দেয়।
সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/ ২৬ জুন, ২০১৭/ ই জাহান