দালাই লামাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে সম্বোধন করল চীন। শুধু তাই নয়, চীন বিশ্বের দেশগুলিকে সতর্ক করে জানিয়েছে, কোনও দেশ বা আন্তর্জাতিক কোনও নেতা যদি দালাই লামার সঙ্গে দেখা বা তাকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করে তবে তা চীনের কাছে ‘গুরুতর অপরাধ’ হিসাবে বিবেচিত হবে। দালাই লামা তিব্বতকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করে চীন।
বিশ্বের নেতারা দালাই লামার সঙ্গে দেখা করছেন, এতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে চীনের। বেইজিংয়ের সঙ্গে তিব্বতের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্যই চীনের অংশ যে তিব্বত তা বিদেশ সরকারকে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে মনে করে চীন। তিব্বতীয় ধর্মগুরু দালাই লামা চীনের আপত্তি সত্ত্বেও এ বছর ভারতের অনুমতি নিয়ে অরুণাচল সহ উত্তর–পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকায় সফরে যান। চীনের নিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে দালাই লামাকে ১৯৫৯ সালে চীন থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসতে হয়। তখন থেকেই তিনি ভারতেই বসবাস করছেন।
চীনে ক্ষমতায় থাকা ইউনাইটেড ফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের কোনও দেশ বা কোনও নেতা দালাই লামার সঙ্গে দেখা করলে তা চীনের কাছে গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে এবং চীনাবাসীদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হবে। ৮২ বছরের ধর্মগুরুর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিদেশি দেশের সঙ্গে চীন কোনও বিতর্কে যেতে চায় না।’
ইউনাইটেড ফ্রন্ট আরও বলে, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই ধর্মের পোশাক পরা ১৪তম দালাই লামা আসলে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া কিছুই নয়।’ ইউনাইটেড ফ্রন্ট ভারতের নাম না নিয়ে জানায়, দালাই লামা নিজের মাতৃভূমির সঙ্গে প্রতারণা করে ১৯৫৯ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকছেন। সেই দেশও দালাই লামাকে ধর্মগুরুর নাম দিয়ে মাথায় তুলে নাচছে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর