বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে কোনো বিদেশি কোচ দায়িত্ব হারানোর পর ফের ফিরে এসেছেন এমন নজির নেই। তবে এবার তার ব্যতিক্রম ঘটতে যাচ্ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জামাল ভূঁইয়া প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পান। ক্রুইফই বলেছিলেন, বাফুফের ভালোমানের প্রবাসী ফুটবলারের সন্ধান করা উচিত। এতে বাংলাদেশের ফুটবলের মানের পরিবর্তন ঘটবে। ক্রুইফ দায়িত্ব নেওয়ার পর তৎকালীন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ডাচ কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনে ফুটবল মানে বড় পরিবর্তন আসবে। এটা ঠিক ক্রুইফ খেলোয়াড়দের কৌশলে পরিবর্তন আনেন। কিন্তু সাফল্যের খাতা শূন্যই ছিল। বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে অনেক পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে মেয়াদ পূরণের আগে তাকেও বিদায় নিতে হয়।
সেই ডাচ ক্রুইফ আবার ১০ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন। তবে কোচ হিসেবে নয়। তার সঙ্গে যদি আলোচনা মিলে যায় তাহলে নতুন দায়িত্বে দেখা যাবে তাকে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে সাইফুল বারী টিটুর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তারই জায়গায় আসছেন ক্রুইফ। বিষয়টি যেহেতু চূড়ান্ত হয়নি তাই বাফুফের হাইকমান্ড থেকে কোনো ঘোষণা আসছে না। কিন্তু বাফুফেরই নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, ক্রুইফের সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন শুধু চুক্তিটাই বাকি। শুধু ক্রুইফ নন। তার সঙ্গে আসছেন তার সহকারী রেনে কোস্টারও। রেনে থাকবেন এলিট একাডেমির দায়িত্বে।
ক্রুইফের বিষয়টি নিয়ে বাফুফের কেউ সরাসরি মুখ না খুললেও এরই মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে। বেশ কজন সাবেক ফুটবলার বলেছেন, ফুটবলে আমরা অতিমাত্রায় বিদেশি-নির্ভর হয়ে পড়ছি। টেকনিক্যাল পদে দেশের কাউকে কি রাখা যায় না। এত বিদেশির ভিড়ে খেলার মান কি বেড়েছে? এতে ফুটবলের প্রতি দেশি এক্সপার্টদের আগ্রহ থাকবে না। আরেক বিষয় না বললেই নয়, অতিরিক্ত প্রবাসীনির্ভরও ঠিক হচ্ছে না।
এতে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।