এ লজ্জা শুধু বাফুফের নয়, দেশেরই বলা যায়। বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্যের আকাশে উড়ছে। এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বেও জায়গা করে নিয়েছে। অথচ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে বাংলাদেশের দেখা নেই। কবে খেলবে তারও নিশ্চয়তা নেই। এ লজ্জা দেশের হলেও দায় তো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। খেলবে কীভাবে, নিয়মই তো অনিয়মে বন্দি। এ ব্যর্থতার যুক্তি কি দেখাতে পারবে বাফুফে। কতই না প্রতিশ্রুতি, মেয়েরা সারা বছর মাঠে থাকবে। সেখানে কি না সামান্য লিগ আয়োজন করতে পারে না। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ কথায় কথায় বলেন, তার ও সালাউদ্দিনের (সাবেক সভাপতি) পরিশ্রমে নারী দল এত সুনাম কুড়াচ্ছে। এত পরিশ্রম, তাহলে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে বাংলাদেশের খেলাটা স্বপ্ন থেকে যাবে কেন? আফঈদা, তহুরা, স্বপ্নারা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবেন ভুটানের কল্যাণে। লজ্জা লাগে না কিরণ বা বাফুফের কর্মকর্তাদের। টানা দুবার সিনিয়র সাফে চ্যাম্পিয়ন আর বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে শিরোপার ছড়াছড়ি। তারপরও এএফসি কাপে দেখা নেই। ভুটানের রয়েল থিম্পুর কলেজের জার্সিতে আফঈদা খন্দকার, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, শাহেদা আক্তার রিপা ও স্বপ্না রানী এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবেন।
ভুটানে নিয়মিত লিগ হওয়ায় বাংলাদেশের মেয়েরা সেখানে খেলছেন। আর তাদেরই হয়ে খেলবেন এশিয়ান নারী ক্লাব ফুটবলের বড় আসরে। সাফল্যের সাগরে ভাসলেও মেয়েরা কতটা যে অবহেলিত এখানে তার প্রমাণ মেলে।