দেশে কভিড-১৯ সংক্রমণে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ জন। এ নিয়ে এ বছর করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৩৩ জন, মারা গেছে ১৬ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জন রোগী শনাক্ত করা হয়। এ সময়ের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে করোনার থাবায়। এদিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৫.৮০ শতাংশ, সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো পাঁচজনের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১১-২০ বছর বয়সি একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সি একজন, ৬১-৭০ বছর বয়সি একজন, ৭১-৮০ বছর বয়সি একজন এবং ৯১-১০০ বছর বয়সি একজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৫ জনের। এর মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জনের, এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৩৩ জন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি কভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের কর্মীদের : চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর পরিবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মীরা। এর আগে গত কয়েক দিন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। আন্দোলনকারীরা বলেন, করোনা মহামারির ভয়াল সময়ে দেশজুড়ে ইআরপিপি প্রকল্পে এক হাজার চারজনের বিশাল জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করি আমরা। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি আমরা। করোনা সংক্রমণ কমে এলে আমাদের ভুলে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।