মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের ফোনালাপ হ্যাক করতে কারসাজি করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। যাদের ফোনালাপ হ্যাক করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের মধ্যে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সৌদির একসময়ের ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজ মুতায়েব বিন আব্দুল্লাহ রয়েছেন বলে জানা গেছে
এই ফোনালাপ হ্যাক করতে আমিরাত চুক্তি করে ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার কোম্পানি এনএসও গ্রুপের সঙ্গে। খবর আমেরিকান প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস'র। সেই চুক্তি সংক্রান্ত কিছু ই-মেইল হাতে পেয়ে এমন বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা। তবে তথ্য হ্যাক করা গেছে কিনা বা করলেও কোন পর্যায় পর্যন্ত করা গেছে, সে বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে দু’টি মামলায় সেই ই-মেইল জমা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল ও সাইপ্রাসে মামলা দু’টি করেছেন এই কারসাজির অন্যতম টার্গেট এক কাতারি নাগরিক ও এক মেক্সিকান সাংবাদিক-মানবাধিকারকর্মী।
সেই মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের আগস্টের শুরুর দিকে ইসরায়েলের ওই কোম্পানিটির সঙ্গে আরব আমিরাতের চুক্তিটি হয়েছিল। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ এবং সৌদি আরবের সেসময়কার ক্রাউন প্রিন্স (যাকে ভবিষ্যৎ বাদশাহ ভাবা হচ্ছিল) মুতায়েব বিন আব্দুল্লাহ এবং লেবাননের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিসহ অনেক নেতা-কর্মকর্তার গোপন-স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিতেই সে চুক্তি করে আমিরাতের নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সরকারের বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তার জেরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের বিরোধ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। যার পরিণতিতে সে বছরের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সৌদি ও আরব আমিরাতের নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর সর্বাত্মক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে দেখা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর