ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর সামরিক আগ্রাসন চালানোর জন্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তৈরি করতে বলেছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইরাকে একটি মার্কিন কূটনৈতিক মিশনের কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর বোল্টন এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (রোববার) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে বাগদাদের গ্রিন জোনের ফাঁকা এলাকায় তিনটি মর্টারের গোলা আঘাত হানলেও বোল্টন বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি বৈঠক ডাকেন এবং বল প্রয়োগের মাধ্যমে জবাব দেয়ার কথা বলেন।
সেসময় বোল্টন এবং ওয়াশিংটনের কয়েকজন কর্মকর্তা ভেবেছিলেন, বসরায় ইরানি কন্স্যুলেট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যেহেতু গ্রিন জোনে ওই হামলা হয় এবং হামলার দায়িত্ব একটি শিয়া গ্রুপ স্বীকার করেছে সে কারণে হামলার সঙ্গে নিশ্চয় ইরানের সম্পর্ক রয়েছে। তারা এও মনে করেছিলেন, ইরাকে সে সময়কার বিক্ষোভের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আছে।
বোল্টনের এই ধারণা এতটাই বাস্তবতা বিবর্জিত ছিল যে, তাতে ওয়াশিংটনের অনেকেই ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন হন। ইরানের ওপর হামলা হলে সম্ভাব্য দৃশ্যপট কী হতে পারে তার একটা চিত্রও তুলে ধরেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। তবে এই হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতি ছিল কিনা তা পরিষ্কার জানা যায় নি।
জন বোল্টন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সূত্র : পার্সটুডে
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন