যে গবেষণাগারে সারা জীবন কাটিয়েছেন ৯০ বছর বয়সি জেমস ওয়াটসন, তারাই এই বিজ্ঞানীর যাবতীয় সাম্মানিক পদ কেড়ে নিল একের পর এক তার জাতি-বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে।
জাতি-বিদ্বেষী কথা বলার জন্যই ২০০৭ সালে ‘কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরি’র কাজ হারিয়েছিলেন ওয়াটসন। কিন্তু সেখানে ‘চ্যান্সেলর এমিরেটাস’সহ তিনটি সাম্মানিক পদ ছিল তার। সেগুলি কেড়ে নেওয়া হয়নি। ২০০৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আফ্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার আশা খুবই ক্ষীণ। সমাজ বলে বুদ্ধির ধারে তারা আমাদের সমান। কিন্তু গবেষণায় তা ধরা পড়ে না।’’
এখানেই থামেননি। আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যারা এই কালো মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারা জানেন সত্যিটা কী।’’ সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রে ওয়াটসন ফের বলেন, তিনি এখনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। জিনের পার্থক্যের জন্যই সাদা ও কালো মানুষদের আইকিউ'র এত তফাত। ওয়াটসনের এই মন্তব্যের পরে কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরি জানায়, ‘‘খুব নিন্দনীয়, বেপরোয়া মন্তব্য। বিজ্ঞান তাকে সমর্থন করে না।’’
এর পরেই তারা ওয়াটসনের তিনটি সাম্মানিক পদ— ‘চ্যান্সেলর এমিরেটাস’, ‘অলিভার আর গ্রেস প্রোফেসর এমিরেটাস’ ও ‘সাম্মানিক ট্রাস্টি’ কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। উল্লেখ্য, 'ডিএন ডাবল হেলিক্স'র আকার উদ্ভাবন করে ১৯৬২ সালে বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক ও মরিস উইলকিন্সের সঙ্গে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও তার ঝুলিতে ছিল একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর