মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। হোয়াইট হাউজের পাশাপাশি মার্কিন সিনেটররাও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শক্তিশালী করতে চান।
শনিবার ওয়াশিংটনে এক বক্তৃতায় ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানি জাতিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে মার্কিন প্রশাসন।
পম্পেও এমন সময় ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন যখন ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) উৎখাতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে তেহরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নেন। এরপর তিনি ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় তোলে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফও এক টুইটার বার্তায় বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ব্যাপারে যে নীতি গ্রহণ করেছেন তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে নিজের ব্যর্থতাকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরার যত চেষ্টাই করুন না কেন তা কোনো ফল বয়ে আনবে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন