ভারতের লোকসভায় আজ মঙ্গলবার পাশ হয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল । প্রত্যাহার করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা । তবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিকভাবেই সমর্থন করেনি পাকিস্তান। আজই পাক-সংসদে এই সিদ্ধান্তকে একপেশে ও সংবিধান বিরোধী আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের সতর্কবার্তাকে ভারতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কার্যত 'পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের' আখ্যা দিয়েছেন। খবর নিউজ এইটটিনের।
ভারতকে সতর্ক করে আজ ইমরান জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের থেকে বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে । মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে কাশ্মীরের মানুষের অধিকার খর্ব হবে ও সেই কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, সংসদীয় অধিবেশনে জানিয়েছেন ইমরান। 'আমাদের আক্রমণ করলে আমরাও যথাযথ জবাব দেব ও পরিস্থিতি আরও গুরুতর হবে যা কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতিই তৈরি করবে' ,মন্তব্য ইমরানের। আর যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে শেষ রক্তপাত পর্যন্ত লড়বে পাকিস্তান, দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফলাফল আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করেছে ভারত সরকার। সেই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত এই রাজ্যটিকে ভেঙে কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামের দুই রাজ্য তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য রাজ্যের মর্যাদাও হারাতে পারে কাশ্মীর। এই ৩৭০ অনুচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল কাশ্মীর। এতে জম্মু ও কাশ্মীরকে অন্য যে কোনো ভারতীয় রাজ্যের চেয়ে বেশি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারি এই পদক্ষেপের পর সেখানে তীব্র প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা হচ্ছে। গতকাল এর সূচনা দেখা গেছে ভারতের আইনসভা লোকসভায়। হয়েছে তীব্র বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোল। অবশ্য ক্ষমতাসীন বিজেপি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে মিষ্টি বিতরণ করেছে কর্মীদের মাঝে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক