ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার পাশাপাশি তেহরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।
মালয়েশিয়া সফররত জারিফ বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত সে এই যুদ্ধ বন্ধ না করছে এবং ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তার সঙ্গে আলোচনায় বসা তেহরানের পক্ষে সম্ভব নয়।
গত কয়েক মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের ভাষায় একটি নয়া পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সর্বশেষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন গত সপ্তাহে বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে ম্যাকরনের ওই বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুয়ালালামপুরে আরও বলেছেন, “কাজেই তারা যদি আলোচনার কক্ষে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাদেরকে একটি টিকেট কিনতে হবে। আর সে টিকেটটি হচ্ছে তাদেরকে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।”
জারিফ আরও বলেন, তার দেশ আলোচনার জন্য আলোচনা চায় না বরং কোনও ফলাফল আসার সম্ভাবনা দেখা দিলেই কেবল আলোচনার টেবিলে বসবে ইরান।
প্রায় দুই বছরের ব্যাপকভিত্তিক আলোচনার পর ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করে ইরান। ওই সমঝোতার ভিত্তিতে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে এবং পাশ্চাত্য তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দেশকে এই সমঝোতা থেকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর একতরফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম