২০১৭ সালের ডিসেম্বর। গোটা দেশের ৭১ শতাংশ ভুখণ্ড গেরুয়া শিবিরের দখলে। দেশের মোট ২১টি রাজ্য হয় বিজেপি, না হয় বিজেপির জোটসঙ্গীদের সরকার ছিল। ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর আমলে দেশে কোনও দল এতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি।
যদিও বিজেপির দাবি, তাদের আধিপত্য ইন্দিরার আমলের কংগ্রেসকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ হেন গেরুয়া শিবির রাজ্যস্তরে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। একসময় যারা গোটা দেশের ৭১ শতাংশ শাসন করত, তারা এখন শাসন করছে মাত্র ৪০ শতাংশ।
মোদি-অমিত শাহ নেতৃত্বে আসার পর ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হুঁ হুঁ করে বেড়েছে বিজেপি। দেশের এমন এমন রাজ্য তারা দখল করেছে বা প্রধান বিরোধীর আসনে বসেছে, যে সব রাজ্যে কোনওদিন বিজেপির অস্তিত্বও কল্পনা করা যেত না। ২০১৪ সালে গোটা দেশের মাত্র ৭টি রাজ্য ছিল বিজেপির দখলে। সেসময় গেরুয়া শিবির শুধু উত্তর ও পশ্চিম ভারতের দল হিসেবে পরিগণিত হত।
মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো কিছু রাজ্য গেরুয়া গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। সেসময় বিজেপির হাতে ছিল ৭টি রাজ্য। কংগ্রেসের হাতে তখনও ছিল ১৩ টি রাজ্য। মাত্র চার বছর পরে ২০১৮ সালে বিজেপি বাড়তে বাড়তে গোটা দেশে ২১টি রাজ্য দখল করে নেয়। কংগ্রেস কমতে কমতে গুটিয়ে যায় মাত্র ৩টি রাজ্যে।
গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে ভাটা পড়া শুরু গেরুয়া ঝড়ে। একের পর এক বড় রাজ্য হারাতে থাকে বিজেপি। হাতছাড়া হয় মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বড় রাজ্য। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হওয়াটা সম্ভবত বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা। খাতায় কলমে এখনও বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীদের হাতে ১৭টি রাজ্য রয়েছে। কিন্তু, এর অধিকাংশই আকারে ছোট। আবার অনেক রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। জোটসঙ্গীদের কল্যাণে তারা সরকারে আছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক