ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজাফ শহরে ইরানের কন্স্যুলেট ভবনে বুধবার আগুন দিয়েছে দেশটির সরকার বিরোধী মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় এক বিক্ষোভকারী নিহত এবং কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর ওই শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিক্ষোভকারীদের ভেতর থেকে সব দুষ্কৃতকারী মুখোশধারী ইরানি কন্স্যুলেট ভবনের চত্বরে ঢুকে পড়ে এবং পুরো ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। ইরাকের পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণকারী সংস্থার সূত্র থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইরাকি পুলিশ জানিয়েছে, ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার আগে সেখান থেকে কন্স্যুলেট ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কড়া নিরাপত্তার ভেতরে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইরাকি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মুখোশধারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছে। কন্স্যুলেট ভবনে আগুন দেয়ার পরপরই ইরাক সরকার নাজাফ শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় কারফিউ জারি করে।
ইরানের কন্স্যুলেট ভবনে আগুন দেয়ার পরপরই ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এডি কোহেন তার টুইটার একাউন্টে পোস্ট দিয়ে অনুসারীদের কাছে জানতে চান- ইরানকে মোকাবেলার জন্য শান্তিপূর্ণ পথ নাকি এমন ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নেয়া হবে। তার এ পোস্টে শতকরা ৮২ ভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ পথ বেছে নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এর আগে, গত অক্টোবর মাসে ইরাকের বিক্ষোভকে কোহেন তার ভাষায় ইরানি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইরাকি বিপ্লব বলে অভিহিত করেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম