১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:৩৪
আনন্দবাজার'র প্রতিবেদন

এবার জ্বলছে দিল্লি, জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাল পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

এবার জ্বলছে দিল্লি, জামিয়ার ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাল পুলিশ

সংগৃহীত ছবি

নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে চলছে সংঘর্ষ-বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভের হাওয়া লেগেছে এবার রাজধানী দিল্লিতেও। 

দিল্লির দক্ষিণ অংশে দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক বাস। কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকেছে। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালায়। 

জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সে সময় বহু ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করছিলেন। তাদের অনেকেই পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, শৌচাগারে ঢুকেও শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। 

লাইব্রেরির বাইরের ছাত্রছাত্রীদের মাথার উপরে হাত তুলে লাইন দিয়ে হাঁটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দেওয়া হয়। জামিয়ার বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এদিকে আটক সহপাঠীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রবিবার রাতেই কয়েকশো শিক্ষার্থী দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করেন। মাঝরাতের কড়া ঠান্ডা উপেক্ষা করেও চলতে থাকে তাদের বিক্ষোভ। কারও কারও হাতে ছিল গান্ধীর ছবি। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি ছিল পুলিশও। 

অন্যদিকে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানো হচ্ছে। যে সময়ে সরকারের উচিত এগিয়ে এসে মানুষের কথা শোনা, তখন বিজেপি সরকার উত্তর-পূর্ব, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লিতে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের উপরে দমনপীড়ন চালিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করছে। এই সরকার কাপুরুষ। #লজ্জা। শুনে নিন মোদীজি, এরা ভারতীয় যুবা, আজ নয় কাল, এদের কথা শুনতেই হবে।’’ 

বস্তুত, গতকাল রবিবার রাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদের মওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি বম্বে-সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আজ সোমবার দিল্লি জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলির একাংশ। 

এর আগে শুক্রবারও জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মিছিল করেছিলেন। তখনও পুলিশ লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। বহু শিক্ষার্থী আহত হন। কিন্তু রবিবার নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকায় বিক্ষোভে তারা অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন জামিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

জামিয়ার চিফ প্রোক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান বলেন, ‘‘পুলিশ গায়ের জোরে, বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। আমাদের কর্মী, শিক্ষার্থীদের পেটানো হয়েছে। জোর করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।’’ 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর