মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে ট্রাম্প হবেন দেশটির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাকে এভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
অভিসংশনের প্রথম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের পাশে থাকলেও ডেমোক্রেটরা বলেছেন, অভিসংশনই সঠিক সিদ্ধান্ত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বরাত দিয়ে জানা যায়, ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্ত প্রতিবেদনে যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রথম দুই অভিযোগের ভোট গণনায় সেই পরিমাণ ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত হওয়ার জন্য অভিশংসনের প্রস্তাব আগামী মাসে সিনেটে পাঠানো হবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে ২৩০ ভোট পড়েছে অভিশংসনের পক্ষে এবং ১৯৭ ভোট পড়েছে বিপক্ষে। দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ২১৬ ভোটের বেশি সংখ্যক ভোট পড়েছে। ওই অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে ২২৯ ভোট ও বিপক্ষে ১৯৮ ভোট।
এদিকে এই ভোটাভুটির আগে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাটিক নেত্রী ন্যান্সি পেলোসিকে একটি ৬ পাতার চিঠি লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিঠিতে হাউসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিকেই তিনি ‘অভ্যুত্থানের চেষ্টা’ এবং ‘বিকৃত বিচার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউসেরই এক নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কর্মী জানিয়েছেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই চিঠিটি লেখার প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প। চিঠি লিখতে নিয়েছেন নিজের আইনজীবীদের পরামর্শও। তবে চিঠিতেই ট্রাম্প কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন, ইমপিচমেন্ট ভোটাভুটি প্রক্রিয়া এখন আটকানো যাবে না। তবে তিনি যে অন্যায় করেননি, বারবার তা দাবি করেছেন ট্রাম্প।
ন্যান্সি পেলোসি অবশ্য জানিয়েছেন, ওই চিঠি তিনি পুরোটা পড়ে উঠতে পারেননি। হাউস সদস্যদের উদ্দেশে তার মন্তব্য, ‘‘এখন প্রার্থনার সময়। ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি মার্কিন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধিকার, যা সংবিধান আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে এগিয়ে থাকতে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্রেট রাজনীতিবিদ জো বাইডেনের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ দিয়েছিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ