মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সম্ভবত আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি সিনেটে বিচারের মুখোমুখি হবেন, সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আর বহাল থাকতে পারছেন কিনা।
বিবিসির খবর, প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় দেওয়া হয়েছে। এর একটি অভিযোগ তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আরেকটি হচ্ছে তিনি কংগ্রেসের কার্যক্রমে বাধ সেধেছেন। দু'টি অভিযোগের ক্ষেত্রেই অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পড়েছে প্রতিনিধি পরিষদে।
প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৩০টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৯৭টি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে ২২৯টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৯৮টি ভোট।
তবে, সিনেটে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ১০০ সদস্যের সিনেটে তা করতে লাগবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ অন্তত ৬৭ জন সিনেটরের সমর্থন। বর্তমান সিনেটে ট্রাম্প সমর্থক রিপাবলিকান সিনেটর আছেন ৪৭ জন। ফলে অভিশংসনের পক্ষে সিনেটে ৬৭ ভোট না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বিবিসি বলছে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকভাবে সিনেটের অভিশংসন প্রক্রিয়ার প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। বিচারের গঠনতন্ত্র নির্ধারিত হয় বিচার শুরু হওয়ার আগে সিনেটরদের ভোটে।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান বিচারপতির দেয়া রায় ১০০ জনের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থাৎ ট্রাম্পের রিপাবলিকান সিনেটররা যদি সবাই ট্রাম্পের নির্দোষ প্রমাণ করার পক্ষে ভোট দেন তাহলে যে কোনো সময় বিচারের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধি পরিষদে আগের অভিশংসিত দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিনটনকে কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে হয়নি। সিনেটের বিচার প্রক্রিয়ায় দু'জনেই খালাস পান। তবে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ওয়াটারগেট কেলেংকারির কারণে অভিশংসিত হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব