জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বনে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে একটি চলন্ত ট্রামের চালক জ্ঞান হারান। এরপর ট্রামটি দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল কোনও স্টেশনে না থেমেই।
এরকম পরিস্থিতিতে যে ‘ইমার্জোন্সি ব্রেক’ কাজ করার কথা, সেটিও বিকল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জন যাত্রী চালকের কেবিনে ঢুকে ট্রামটিকে থামাতে সক্ষম হন। দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ট্রামের চালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার নিজের আসনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর কোনও স্টেশনেই না থেমে ট্রামটি দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল। ট্রামের যাত্রীরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তারা ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করতে থাকেন। এরপর দুজন যাত্রী দরজা ভেঙে ট্রামের চালকের কেবিনে ঢোকেন। সেখানে তারা দেখেন, চালক পড়ে আছেন, তার কোনও সাড়া মিলছে না। এক নারী যাত্রী ট্রাম কোম্পানিতে ফোন করেন কিভাবে ট্রামটি থামানো যায় তার উপায় জানার জন্য। এরপর যাত্রীরা ট্রামটিকে শেষ পর্যন্ত থামাতে সক্ষম হন। আর অসুস্থ ট্রাম চালক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর যে সাহসী যাত্রীরা ট্রামটি থামিয়েছিলেন, তারা কিছু ছোটখাট আঘাত পেয়েছেন।
বনের মেয়র অশোক শ্রীধরন স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে জানান, এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের যা করা উচিৎ ছিল, তারা তাই করেছেন। তারা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছেন। তবে ট্রাম কোম্পানি তাদের কোনও গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছেন, ট্রামে যে ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক লিভার’ আছে, সেটির কাজ ট্রাম থামানো নয়, চালককে সতর্ক করে দেওয়া, যাতে তিনি যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং ট্রামটিকে থামাতে পারেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/কালাম