ভূমধ্যসাগরে জলসীমা নিয়ে গ্রিস-তুরস্কের মধ্যে ঘন ঘন নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব বেঁধে যাচ্ছে। সর্বশেষ তুরস্ক ঘোষণা করেছে, ভূমধ্যসাগরের একটি এলাকায় গ্যাস ড্রিলিং জরিপের জন্য তারা একটি জাহাজ পাঠাচ্ছে। এ ঘোষণার পরই গ্রিসের সঙ্গে তাদের তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং ব্যাপারটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এমনিতেই তুরস্ক ও গ্রিসের সম্পর্ক ভালো নয়। তার ওপর তুরস্কের এই জাহাজ পাঠানোর খবরে গ্রিসের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। কারণ তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলের কাছাকাছি ঐ জায়গা গ্রিসেরও একটি দ্বীপের নিকটবর্তী। গ্রিস বলেছে, তুরস্কে নৌবাহিনীর এই পদক্ষেপ গ্রিসের সার্বভৌম অধিকারের লঙ্ঘন। তুরস্ক ও গ্রিস দুটি দেশই ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকা থেকে জ্বালানি আহরণের প্রতিযোগিতায় তারা হয়ে উঠেছে পরস্পরের প্রতিপক্ষ।
মঙ্গলবার খবর বের হয়, সাগরের ঐ এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য দুই দেশেরই নৌবাহিনীর জাহাজগুলো তৈরি হচ্ছে।
গ্রিস বলছে, তুরস্ক গ্যাস অনুসন্ধান জাহাজ সংক্রান্ত যে সতর্কবার্তা দিয়েছে তা অবৈধ। কিন্তু তুরস্ক বলছে, তাদের জরিপ জাহাজটি তাদের উপকূলবর্তী সামুদ্রিক এলাকার মধ্যেই কাজ করছিল।
এ মাসের প্রথম দিকে ইস্তাম্বুলের হায়া সোফিয়া জাদুঘর, যা কয়েক শতাব্দী ধরে অর্থডক্স খ্রিষ্টানদের গির্জা ছিল, তাকে মসজিদে পরিণত করার কথা ঘোষণা করে তুরস্ক। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে অবণতি ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা