করোনাভাইরাসের কারণে সংকটে প্রায় সব শিল্প। এমনকি মন্দার শিকার ডেইরি শিল্পও। আর তাই তো কয়েকদিন আগেই দুধের দাম বাড়ানোর দাবি উঠেছিল ভারতের মহারাষ্ট্রজুড়ে। কিন্তু পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িতে গবাদি পশু আছে। তবে এই গ্রামের মানুষরা দুধ কখনওই টাকার জন্য বিক্রি করেন না। বরং যাদের প্রয়োজন, তাদের বিনামূল্যেই দিয়ে দেন।
শুনতে অবাক লাগলেও মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি জেলায় রয়েছে এই গ্রাম। নাম ইয়েলগাঁও গাওয়ালি। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, তারা ভগবান কৃষ্ণের বংশধর। আর দীর্ঘদিন ধরে দুধ বিক্রি না করার এই রীতি তাদের গ্রামে চলে আসছে। বরং এর বদলে যাদের প্রয়োজন, তাদের বিনামূল্যেই তা দিয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বাসিন্দা রাজাভাউ মানদাড়ে বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের নাম ইয়েলগাঁও গাওয়ালি। এর অর্থই হলো দুধওয়ালাদের গ্রাম। আমরা শ্রীকৃষ্ণের বংশধর, তাই এই গ্রামে কোনও বাড়িই দুধ বিক্রি করে না।’তিনি জানান, গ্রামের ৯০ শতাংশ বাড়িতেই গবাদি পশু রয়েছে। কিন্তু কেউ-ই দুধ বিক্রি করেন না। আর এই রীতি বহু যুগ ধরেই মানা হচ্ছে। যদি কোনও কারণে দুধ বেশি হয়, তাহলে তা দিয়ে দুগ্ধজাত কোনও দ্রব্য যেমন– ঘি, মাখন তৈরি করা হয় এবং যাদের প্রয়োজন তাদের দিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শেখ কৌসর বলেন, ‘গ্রামে একাধিক ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু এই রীতি শুধু হিন্দুরা নন, মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষরাও মেনে চলেন।’
তিনি আরও জানান, গোটা গ্রামে ৫৫০টি পরিবার বাস করে এবং তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বাড়িতেই গবাদি পশু রয়েছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ