১৩ আগস্ট, ২০২০ ১৬:৩৫

তিব্বত-ভিয়েতনাম-তাইওয়ান-ভারতের নাগরিকদের চীনবিরোধী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে

অনলাইন ডেস্ক

তিব্বত-ভিয়েতনাম-তাইওয়ান-ভারতের নাগরিকদের চীনবিরোধী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে

ভারত ও চীনের মধ্যে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, আটলান্টাসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে চীনবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত রবিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিল এলাকায়ও চীনবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

‘আমেরিকা প্রটেস্ট এগেইনস্ট কমিউনিস্ট চায়না’ ব্যানার প্রদর্শন করে সেই বিক্ষোভে অংশ নেন ভিয়েতনাম, তিব্বত, তাইওয়ান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। এই চার দেশের বংশোদ্ভূত নাগরিকরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ওয়াশিংটনের রাস্তায় চীনবিরোধী শ্লোগান দেন। অভিবাসীয় এই বিক্ষোভকারীদের হাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকাও দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘বয়কট চায়না’ ক্যাম্পেইন ইতোমধ্যে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সফল হলেও চীনা পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়াও আরও অনেক কিছু করার এখনও বাকি আছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই প্রতিবাদ চীনের জনগণের বিরুদ্ধে নয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে।

ওয়াশিংটনে চীনবিরোধী কর্মসূচির সম্মুখসারির সংগঠক আদপ প্রসাদ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে দখলদার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, চীন এমন একটি দেশ যারা চুরি, মিথ্যাচার ও প্রতিবেশী দেশকে পিছন থেকে ছুরি মারা ছাড়াও তাদের সম্প্রসারণবাদী নীতি বহাল রেখেছে।

আদপ প্রসাদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, চীন আগ্রাসীভাবে অরুণাচল, লাদাখ থেকে ভারতের জমি চুরি করার চেষ্টা করছে। তারা ভুটানকে ভয় দেখায়। তাজিকিস্তান পর্বতমালা তাদের অন্তর্গত বলেও তারা দাবি করেছে। ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, জাপান এমনকি রাশিয়াও চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির শিকার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ওয়াশিংটন ডিসিতে ভিয়েতনাম, তিব্বত, তাইওয়ান ও হংকংয়ের নাগরিকদের মতো চীনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সবার সাথে যোগাযোগ করেছি, আমরা একসাথে অক্টোবরে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য একটি বৃহৎ জমায়েতের পরিকল্পনা করছি। আমরা চীনকে বাদ দিয়ে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সরবরাহ চেইন স্থানান্তর করার উপায় নিয়েও ভাবছি।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভিয়েতনামী অভিবাসীদের প্রতিনিধি ম্যাট ট্রুং বলেন, আমাদের সাধারণ হুমকি কমিউনিজম, চীনা জনগণ নয়। রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক এবং প্রবাসী ভারতীয় কমিউনিটির সক্রিয় সদস্য শ্রীলেখা পাল্লেও একই অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ট চীনের হুমকি দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি।

বিক্ষোভে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী ছিলেন আমেরিকার শিখদের সভাপতি কানওয়ালজিৎ সিং সোনি। তিনি বলেন, চীনকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সূত্র: এএনআই।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর