সংবিধানে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা হ্রাস ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে থাইল্যান্ডে চলছে ছাত্রদের আন্দোলন। বিক্ষোভ দমাতে আন্দোলনকারীদের ধড়পাকড় শুরু করেছে সরকার। এই আন্দোলনে শুধু সরকার নয়, রাজতন্ত্রের বিপক্ষেও কথা বলছেন বিক্ষোভকারীরা। খবর ডয়চে ভেলের।
জানা গেছে, রাজা মহাভিজিরালোংকর্নের ক্ষমতা হ্রাস আর এজন্য সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন আন্দোলনকারীরা। তারা মনে করেন রাজতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতাই বারবার সামরিক অভ্যুত্থানের জন্ম দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে।
গত বুধবার কিং মংকুট’স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময় তিন আঙুলের স্যালুট প্রদর্শন করেন তারা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ক্ষমতা দখলের পর গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠে এই স্যালুট।
সরকারবিরোধী এই আন্দোলনের নেতৃত্বে এখন দেশটির শিক্ষার্থীরা। একমাস ধরে নিয়মিত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রদের নেতা পারিক চিওয়ারাক রাজতন্ত্রের পুনর্গঠনে এরইমধ্যে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন।
গত বছরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, আন্দোলনকারীদের এমন দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রায়ুথ চান-ওচা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি- সাড়ে ছয় কোটির বেশি জনগণের বেশিরভাগই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একমত নন। তারা যাতে রাজতন্ত্র নিয়ে কোনো কথা না বলে, সে বিষয়েও সাবধান করে দেন তিনি। তবে রাজপ্রাসাদ থেকে এখনও আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেনি কেউ।
একসময় থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র কিংবা রাজার বিপক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলা অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু গত জুলাইতে এই ট্যাবু ভেঙে দিয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। তাদের মধ্যে অগ্রগামী ৩৬ বছর বয়সি আইনজীবী আনোন নাম্পা। রাজাকে অবমাননা করা হলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে- এমন আইন সত্ত্বেও তিনি ভয় পান না। বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্দোলনকারীদের এই পথিকৃৎ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক