শিরোনাম
- ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধ কি সত্যিই শেষ? কে কী পেল এই সংঘাতে?
- ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র
- ধ্বংস হয়নি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র
- ইরান থেকে দেশে ফিরতে ২৫০ বাংলাদেশির নিবন্ধন
- এইচএসসি ঘিরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা
- ইরান-ইসরায়েল 'যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা', ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব নোবেল শান্তির জন্য
- ঢাবিতে ফের ককটেল বিস্ফোরণ
- গ্রাম আদালত বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গাজীপুরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- নির্বাচিত সরকার না থাকাতেই মব জাস্টিস হচ্ছে
- ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল
- চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- অনলাইন প্রতারণায় বিদেশি হাত, গাজীপুরে চীনা নাগরিকসহ পাঁচজন ধরা
- কুলাউড়ায় ৩০০ উপকারভোগী পেলেন গৃহস্থালি ও স্বাস্থ্যসামগ্রী
- আধুনিক দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জনের ওপর ডুয়েট উপাচার্যের গুরুত্বারোপ
- নোয়াখালীতে ১১ মাদকসেবীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা
- ইংল্যান্ডের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন ডাকেট
- ট্রাকে বালুর নিচ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় কসমেটিকস উদ্ধার
- রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়াল
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- ছয় দফা দাবিতে বড়াইগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান
‘রাজনৈতিক নেতাসহ ১৪৩ জন আমাকে ধর্ষণ করেছে’
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী শহর হায়দরাবাদের এক নারী দেশটির পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে অন্তত ১৪৩ ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা, সংবাদকর্মীসহ অনেকেই আছেন।
পঁচিশ বছর বয়সী ওই নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। হায়দরাবাদ শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঞ্জাগুট্টা থানার ওসি এম নিরঞ্জন রেড্ডি বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘ওই তরুণী ৪২ পাতার লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। তার অভিযোগপত্র দেখে খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলে আমরা নিশ্চিত যে ওই তরুণীর কোনো মানসিক সমস্যা নেই। এ জন্যই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।’
ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, আঘাত করা— এসব ধারায় যেমন মামলা রুজু হয়েছে, একই সঙ্গে তপশিলী জাতি ও উপজাতিদের নির্যাতন রোধ আইনেও মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে ওই নারী লিখেছেন, ২০০৯ সালে খুব কম বয়সে তার বিয়ে হয়। এর কয়েক মাস পর থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু করে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। প্রায় নয় মাস ধরে যৌন নির্যাতন সহ্য করার পর ২০১০ সালে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে কলেজে ভর্তি হন।
এরপর থেকেই রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রনেতা, সংবাদকর্মী, চলচ্চিত্র জগতের মানুষ নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তরুণী। আভিযোগপত্রে তিনি ১৩৯ জনের নাম উল্লেখ করেছেন, আর বাকি চারজনের নাম মনে করতে পারেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা তাকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন চুপ করিয়ে রেখেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা রেড্ডি বলেন, ‘আজ শনিবার আমরা ওই নারীর বয়ান রেকর্ড করছি। তার শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে। আশা করছি আগামী দুই দিনের মধ্যে কিছু তথ্য প্রমাণ আমরা জোগাড় করতে পারবো। যার ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্ত এগোবে।’
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর