লাদাখে উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে ভারত-চীন ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পিনাক মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করছে ভারত। লঞ্চপ্যাডসহ এর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তিন ভারতীয় কোম্পানির কাছে থেকে কিনছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর জন্য চুক্তি হয়েছে ২,৫৮০ কোটি টাকার।
১৯৮০ সালে এই পিনাক মিসাইল তৈরির কাজে হাত দেয় ডিআরডিও। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার গ্রাড মিসাইলের বিকল্প তৈরি করা। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে এটি তৈরি করে ফেলে ডিআরডিও। ১৯৯৯ সালে এটি ব্যবহার করা হয় কারগিল লড়াইয়ে। পরে এটির আরও উন্নত সংস্করণ তৈরি হয়ে যায়।
কী সুবিধে রয়েছে পিনাক-এ
প্রাথমিকভাবে পিনাক হলো একটি মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার সিস্টেম। মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে এটি ১২টি রকেট ফায়ার করতে পারে। একটি পিনাক ব্যাটারি-তে থাকে ৬টি লঞ্চ ভেহিকেলস। ওই ভেহিকেলসে থাকে একটি লোডার, রেডার, কমান্ড পোস্ট ও একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম। পিনাকের একটি ব্যাটারি এক বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্রহরা দিতে পারে খুব সহজেই।
পিনাকের যে মার্ক-১ সংস্করণটি রয়েছে সেটির পাল্লা ৪০ কিলোমিটার। মার্ক-২ এর পাল্লা ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। মার্ক-২ তে থাকে গাইডেড মিসাইল সিস্টেম। ফলে লাদাখের মতো উত্তেজক এলাকায় ভালো কাজ দিতে পারে পিনাক।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত