মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘটনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তটি ন্যাটোর নীতিবিরোধী। আর তা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছে বিপদের কারণ। তাই তুরস্কের সামরিক সরঞ্জাম কেনার দায়িত্বে থাকা অ্যাজেন্সি এবং সেই অ্যাজেন্সির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২০১৯ সালে তুরস্কের হাতে আসার পর আঙ্কারাকে এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান কর্মসূচি থেকে বের করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময়ই তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দেওয়া হয়। নিজের মেয়াদ শেষের আগ মুহূর্তে এসে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে 'বিরাট ভুল’ বলে অভিহিত করেছে তুরস্ক। তুরস্কের ওপর আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তুর্কি সরকার।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা যদি এস-৪০০ সিস্টেম কেনে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হবে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও প্রতিরক্ষা শিল্প ক্ষেত্রে মস্কো ঢুকে যাবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের হাতে প্রচুর অর্থ চলে আসবে। এসব যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তার কারণ।
জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্তের কোনো ব্যাখ্যা নেই। আঙ্কারা বহুবার সমস্যা সমাধানের জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে কিন্তু সে প্রস্তাবকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তুর্কি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এ বিরাট ভুল থেকে আমরা ওয়াশিংটনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার আহ্বান জানাই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার