পাখি নিয়েও কূটনীতি করার সুযোগ ছাড়ছে না পাকিস্তান। সারা বিশ্বে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি লুপ্তপ্রায়। তবুও এই প্রজাতির পাখি শিকারের অনুমতি দিল ইমরান খানের সরকার, যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের সরকারকে। প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানের উদাসীনতা বহুদিনের। এমনকি বহুবার পাকিস্তানের সরকার শিকারিদের পুরস্কার দিয়েও প্রাণী হত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। আরও একবার লুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি শিকারের অনুমতি দিয়ে বিতর্ক উসকে দিল তারা।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং তার পরিবারের ১৪ জনকে হাওবারা বুস্টার্ড পাখি শিকারের বিশেষ অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।
এর আগে এ মাসের শুরুতে ২০২০-২১ শিকার মৌসুমে এই পাখি শিকারের জন্য সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সৌদি শাসক পরিবারের আরও দুই সদস্যকে বিশেষ অনুমতি দেয় পাকিস্তান সরকার।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা (আইইউসিএন) এই প্রজাতির পাখিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে রেখেছে। চোরাশিকারের কারণে এই প্রজাতির পাখির সংখ্যা সারা বিশ্বে কমেছে অনেকটাই। অবস্থা এমনই যে এখন হাওবারা প্রজাতির পাখি প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। এমনকি পাকিস্তানেও এই পাখি শিকারে নিষেধজ্ঞা জারি হয়েছে। তারপরও কী করে পাক সরকার কাতারের শেখ পরিবারকে এই পাখি শিকারের অনুমতি দেয়! এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতার। আর তাই সেই দেশের শেখ পরিবারকে যেভাবেই হোক সন্তুষ্ট রাখতে চায় পাকিস্তান। যাতে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বাধা না আসে। তাই যে কোনো মূল্যে ইমরান খানের সরকার কাতারের শেখ পরিবারকে তুষ্ট করতে চান। যদিও টাকার বিনিময় পাকিস্তানে শিকার নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের জাতীয় পশু মার্খোর। সেই মার্খোরের শিকারও পাকিস্তানে হয়। টাকার বিনিময়ে।
সূত্র: জি নিউজ, ডন
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ