মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের ঢুকে পড়া ও সহিংসতার বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় বিস্মিত ও স্তব্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। এদিকে, ক্যাপিটল হিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলার পর চীনের ইন্টারনেট জগতে হাস্যরস আর ব্যাঙ্গ করার রোল উঠেছে।
এই বিক্ষোভকে সুন্দর দৃশ্য বলে উল্লেখ করেছেন চীনের কলামনিস্ট ইওথ লিগ। চীনা সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে তারা এমন মন্তব্য করেছেন। এই দাঙ্গাকে তারা গত বছরে হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করে বিশ্বনেতাদের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, এটি পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়- আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এ হামলার ঘটনা মনে রাখবে; আর সেটি হচ্ছে–এ মুহূর্তটি চরম অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে 'লজ্জাজনক' বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে 'শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তরের' আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি টুইটারে ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় আমি অত্যন্ত আহত। নিয়মমাফিক ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন চলতে থাকে। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কখনওই বেআইনি আন্দোলনের দ্বারা বিপথে চালিত হতে দেওয়া যায় না।
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর হামলার ঘটনায় কানাডিয়ানরা অত্যন্ত চিন্তিত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ