একসময় সমৃদ্ধশালী বন্দর ছিল ভেনিজুয়েলার উত্তর-পূর্বাংশের গুইরিয়া। সেখান থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় যেতে ছোট একটি সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে হয়।
কিন্তু গত দুই বছরে ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলটি সুক্রে রাজ্য এবং গুইরিয়ার ১০০-এর বেশি আদিবাসীর জন্য মৃত্যুর স্পটে পরিণত হয়েছে। কেবল গত মাসেই প্রায় ৩০ জন লোক নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন এ অঞ্চলে। মূলত আটজন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নৌকায় ৪১ জনকে তুলে গুইরিয়া ছেড়ে গিয়েছিল নৌকাটি। পরে সেটি পারিয়ার উপসাগরে গিয়ে ডুবে যায়।
অনেকে মূলত দুর্লভ হয়ে পড়া আটা, চাল, তেল ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তিন বছরের উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতি ও সাত বছরের মন্দার কারণে এসব পণ্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে দেশটিতে।
সর্বশেষ দুর্ঘটনায় ২ ভাতিজাকে হারানো ৫১ বছর বয়সী জুরিলও পোট্টেল্লা বলেন, তারা খাবার কিনতে গিয়েছিলেন, যেন ক্রিসমাসে আমাদের দুশ্চিন্তা করতে না হয়।
এ ঘটনা পুরো সম্প্রদায়কে হতভম্ব করে রেখেছে। যেখানে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় গোপনীয় ভ্রমণগুলো একপর্যায়ে তাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল। ৩০ বছর বয়সী জোসে কার্লোস সান ভিনসেন্তে পোট্টেল্লা এবং ২৯ বছর বয়সী নোয়েলভিস আস্তুডিল্লোর মরদেহ জেলেদের চোখে পড়ার পর পানি থেকে উদ্ধার করা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দুর্ঘটনায় ২৯ জন মারা গেছে। তবে পরিবারগুলোর হিসাবমতে, এ সংখ্যা ৩৪।
সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ