এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ অক্টোবর ও নভেম্বরে ওই ছয় পাকিস্তানিকে মুক্তি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিতাড়িত করে। কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় ধরে রেখেছে বা কেন তাকে আটক করা হয়েছে তার কারণ এখনো অজানা।
এছাড়াও নিউইয়র্কভিত্তিক এক সংগঠনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ১০ ব্যক্তি আমিরাতে ম্যানেজার, বিক্রয় কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসার সিইও, শ্রমিক ও চালক হিসেবে অনেক বছর ধরে কাজ করে আসছিলেন। আটক থাকা চার জনের মধ্যে একজন ছয় মাস পরে তার পরিবারকে ফোন করতে সক্ষম হয়েছিল।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর আগেও অভিযোগ তুলেছিল যে, শত শত অ্যাকটিভিস্ট, শিক্ষাবিদ এবং আইনজীবী সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে দীর্ঘ সাজা ভোগ করছেন।
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ তুলেছে যে, দেশটি অক্টোবর থেকে চার পাকিস্তানি নাগরিককে ‘জোরপূর্বক অদৃশ্য’ করে রেখেছে এবং শিয়া সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে আরও ছয়জনকে বিতাড়িত করেছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারাও অন্যান্য পাকিস্তানি শিয়াদের সম্পর্কে জানেন যাদের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় আমিরাত কর্তৃপক্ষ তুলে নিয়ে গেছে।
এইচআরডব্লিউয়ের আরও অভিযোগ, লেবানন, ইরাক, আফগান, পাকিস্তান বা অন্য কোনো কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ শিয়া অধিবাসীদের টার্গেট করছে।
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির