চলমান রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে নতুন শান্তি পরিকল্পনার খবরের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। মার্কিন সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব ড্যান ড্রিসকলের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের দল কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। জেলেনস্কি বর্তমানে তুরস্ক সফর শেষে দেশে অবস্থান করছেন।
সম্প্রীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নতুন একটি শান্তি-চুক্তি প্রণয়ন করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন বা মস্কো—দু’পক্ষই এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টারনোপিলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ডেভিড বাটলার এক বিবৃতিতে জানান, সচিব ড্রিসকল এবং তার দল আজ সকালে কিয়েভে পৌঁছেছেন। এটি একটি ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন, যেখানে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধশেষের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হবে। দলের সঙ্গে রয়েছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল র্যান্ডি জর্জ, ইউরোপে মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ডনাহিউ, এবং সার্জেন্ট মেজর মাইকেল ওয়েইমার।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ডেভিড বাটলার এক বিবৃতিতে জানান, সচিব ড্রিসকল এবং তার দল আজ সকালে কিয়েভে পৌঁছেছেন। এটি একটি ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন, যেখানে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধশেষের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হবে।
এরই মধ্যে অ্যাক্সিওস, ফিনান্সিয়াল টাইমস এবং রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবে ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড়, অস্ত্রসজ্জা সীমিতকরণ এবং সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করার শর্ত আছে।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, টেকসই শান্তি অর্জনের জন্য উভয় পক্ষকে কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় ছাড়ে সম্মত হতে হবে। এই কারণেই আমরা এই সংঘাতের উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে এই যুদ্ধের অবসানের জন্য সম্ভাব্য ধারণাগুলির একটি তালিকা তৈরি করছি এবং চালিয়ে যাব।
তবে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব প্রতিবেদনের গুরুত্ব কমিয়ে বলেন, এটি ‘অ্যাংকরেজ আত্মা’র বাইরে অতিরিক্ত কিছু নয়।
এদিকে হোয়াইট হাউজ নিশ্চিত করেছে যে ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত কিথ কেলগ জানুয়ারিতে পদ ছাড়বেন। তিনি ৩৬০ দিনের পর এই দায়িত্বে থাকার জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন হওয়ায় এই সময়টাকেই বিদায়ের উপযুক্ত সময় হিসেবে দেখছেন বলে জানা গেছে।
কেলগকে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয়—বিশেষত যখন ট্রাম্প প্রশাসন বারবার রাশিয়ার প্রতি নরম অবস্থান নিয়েছে বলে সমালোচিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল