‘সুস্বাস্থ্য সবার জন্য, কারো জন্য নয় ক্ষুধা’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে অধিক ফলনশীল ও লাভজনক ভুট্টাসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণা ও প্রদর্শনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একটি বেসরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উন্নত জাতের ভুট্টা কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারের চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে দিনাজপুর সদরের কর্নাই গ্রামের ৫ একর জমির ওপর গড়ে তোলা গবেষণা প্রকল্প পরিদর্শনে কৃষক, হাবিপ্রবি’র শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুরুতে আদিবাসী নারীরা মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া অঞ্চলের প্রধান মিস মালু নাখরাইনার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-শিক্ষকসহ অন্যান্য অতিথিরা।
সমাবেশ শেষে নতুন চারটি উন্নত জাতের ভুট্টা—কেডিসি ৯২১৭, কেডিসি ৯১৬৫, কেডিসি ৯১৪৪ ও কেডিসি ৯২৫৬—চাষের প্রদর্শনী মাঠ ঘুরে দেখেন তারা। পাশাপাশি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা ও মরিচসহ বিভিন্ন কৃষিজ ফসলের ফলনও প্রদর্শন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদের ভাষ্যমতে, উন্নত জাতের এসব ভুট্টার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- ঝড়ের বিরুদ্ধে অসাধারণ স্থায়িত্ব, অধিক ফলনক্ষমতা, লম্বা ও সম আকারের মোচা, আকর্ষণীয় কমলা রঙের দানা, পাতাপোড়া ও কান্ডপচার মতো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। পরিপক্ব হওয়ার পর সংগ্রহ করা হলে প্রতি হেক্টরে ১৩,০০০ থেকে ১৪,০০০ কেজি পর্যন্ত ভুট্টা পাওয়া সম্ভব। রবি মৌসুমে এসব জাতের ভুট্টা বপনের সর্বোত্তম সময় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ