মঙ্গলের শান্ত লাল মাটির ভেতর হঠাৎ দেখা মিলল এক অচেনা পাথরের। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারের কাছে ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা এই শিলা খুঁজে পায়।
খবর অনুসারে, এটি আশপাশের কোনো পাথরের মতো নয়। রোভারের ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দেখা যায়, শিলাটির গঠন ও রং পুরো অঞ্চলের স্তরভূমির সঙ্গে মোটেই মিলছে না।
নাসা এই শিলার নাম দিয়েছে ‘ফিপসাক্সলা’। পরে মিশন টিম শিলাটির আরও বিশদ পরীক্ষা করে। বিজ্ঞানীরা দেখেন, এর ভেতরে লোহা ও নিকেল উপাদানের ঘন উপস্থিতি রয়েছে। মঙ্গলের স্বাভাবিক ভূত্বকে এটি খুবই বিরল।
রোভারটির সুপারক্যাম লেজার ও স্পেকট্রোমিটার (উপাদান শনাক্তকরণ যন্ত্র) বিশ্লেষণ দেখায়, এটি সম্ভবত একটি লোহা–নিকেল উল্কাপিণ্ড। সাধারণত এ ধরনের শিলা বড় অ্যাস্টেরয়েডের কেন্দ্র থেকে তৈরি হয় এবং পরে অন্য গ্রহে গিয়ে পড়ে।
মাপের দিক থেকে শিলাটি ছোট একটি ডেস্কের মতো বড়। দৃশ্যের আশপাশের নিচু ও ভাঙা পাথরের ভেতর এটিই সবচেয়ে আলাদা। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি বহু বছর আগে মঙ্গলের মাটিতে পতিত হওয়া একটি উল্কাবস্তুও হতে পারে। তবে এর অবস্থান ও উপাদানের বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা চালানো হবে।
এর আগে নাসার কিউরিওসিটি রোভারও গেইল ক্রেটারে লোহা–নিকেলসমৃদ্ধ বেশ কিছু উল্কাপিণ্ড খুঁজে পেয়েছিল। যার মধ্যে ২০১৪ সালের ‘লেবানন’ এবং ২০২৩ সালের ‘কাকাও’ উল্লেখযোগ্য।
নাসা বলছে, জেজেরো ক্রেটারের বয়স ও অতীত সংঘর্ষের প্রমাণ দেখে ধরে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে আরও উল্কাপিণ্ড পাওয়া যাবে। তবে এবার ক্রেটারের বাইরের অংশে এই অস্বাভাবিক শিলা মিলল, যা বিজ্ঞানীদের নতুন রহস্যের সামনে দাঁড় করিয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল