মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু ইলিয়াস শান্ত হত্যার প্রতিবাদে এবং মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পুরুষসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে যান এবং সেখানে স্মারকলিপি জমা দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইলিয়াস শান্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামি টিপু মোল্লা ও নৌ–ডাকাত কিবরিয়া মিজিসহ এজাহারনামীয় সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
নিহত যুবদল নেতা শান্তর স্ত্রী শান্তা ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে শান্ত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইলিয়াছ শান্ত সরকার ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে স্পিডবোটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ আরও পাঁচ-ছয়জন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রধান আসামি টিপু মোল্লার মোবাইল ফোন থেকে শান্তর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় যে তিনি নৌ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁকে চিতলিয়া এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় শান্তর মরদেহ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমশুরা গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই মো. মামুন সরকার আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ