সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধাসেনা সরিয়ে আফগান সীমান্ত বরাবর সেনাবাহিনী মোতায়েন শুরু করেছে ইমরান খান সরকার।
শনিবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক (স্বরাষ্ট্র) মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে সরকার এবং তালেবানের সংঘর্ষের জেরে সীমান্তে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্রন্টিয়ার কনস্টেব্যুলারি বাহিনীকে সরিয়ে কিছু সীমান্ত চৌকির দায়িত্ব সেনাকে দেওয়া হয়েছে।’’আফগানিস্তানে নতুন করে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের জেরে সীমান্ত অতিক্রম করে বহু শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রশিদ।
আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পরেই আফগানিস্তান জুড়ে সক্রিয়তা বেড়েছে তালেবানের। ইতোমধ্যেই ইরান সীমান্তবর্তী ইসলাম কালা এবং তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত লাগোয়া টোরঘুন্ডি শহরের দখল নিয়েছে তারা। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ লাগোয়া স্পিন বল্ডোক শহরও তালেবানের দখলে চলে গিয়েছিল। কিন্তু কন্দহর প্রদেশের ওই শহর পুনর্দখলের লক্ষ্যে নতুন করে অভিযানে নেমেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
তবে ইসলামাবাদের তরফে সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যুক্তি দেওয়া হলেও আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তা মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, তালেবানদের সহায়তার উদ্দেশ্যেই খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান সীমান্ত বরাবর অবস্থান নিচ্ছে পাকিস্তান সেনা।
প্রসঙ্গত, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তালেবানকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার ও ডন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন