ফ্ল্যাটে ঢুকে হতবাক হয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘরের মধ্যে যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে এক ব্যক্তির খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ। আর সেখানেই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন এক নারী!
ঘটনাটি পাকিস্তানের করাচি শহরের। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনা ইতোমধ্যেই ঝড় তুলেছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে।
করাচির সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ সোহেল (৬৫)। তিনি সদর এলাকার আবদুল্লাহ হারুন রোডের ওই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা ছিলেন। আটক ৪০ বছরের নারীর নাম রুবাব।
পুলিশি জেরায় রুবাব খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি প্রথমে জানিয়েছেন, সোহেল তার স্বামী। যদিও পরে নিহত ব্যক্তিকে নিজের দুলা ভাই বলে দাবি করেন তিনি। প্রতিবেশিদের একাংশের দাবি, একত্রবাস করলেও দু’জনের বিয়ে হয়নি। তবে সোহলের আগের পক্ষের ছেলে পুলিশকে জানিয়েছেন, দু’জনের বিয়ে হয়েছে। গত ছ’বছর ধরে সোহেল এবং রুবাব এক সঙ্গেই থাকতেন।
করাচি প্রিডি থানার কর্মকর্তা তথা মামলার তদন্তকারী সাজ্জাদ খান জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহের কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “জেরায় রুবার জানিয়েছেন সোহেল মাদকাসক্ত ছিলেন। যদিও গ্রেফতারের সময় ওই নারীও নেশাগ্রস্ত ছিলেন।”
তিনি জানান, ওই আবাসনের এক বাসিন্দা সোহেলের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে কাটা আঙুল ও রক্ত দেখতে পেয়ে থানায় ফোন করেছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে নিহতের দেহাংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলো স্থানীয় জিন্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন নিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম