চরম রাজনৈতিক অস্থিরতায় অবশেষে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। টানা তিন দিন মন্ত্রিসভা ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়লে বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন তিনি। তবে পরবর্তী নেতা না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
এদিকে, বরিস জনসনের বিদায়ের ঘোষণার পর আনন্দ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির নেতারা বরিস জনসনকে ‘বেকুব ক্লাউন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য তিনি তার উপযুক্ত পুরস্কার পেয়েছেন।
দল থেকে বরিসের পদত্যাগের কিছুক্ষণের মধ্যে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “বরিস আমাদের পছন্দ করেন না আমরাও তাকে পছন্দ করি না।”
টেলিগ্রাম পোস্টে রাশিয়ান টাইকুন ওলেগ ডেরিপাস্কা বলেছেন, এক ‘বেকুব জোকারের’ অপমানজনক পরিণতি।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেন, জোকারের বিদায় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “বরিস রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অন্যতম প্রধান মতাদর্শী। ইউরোপীয় নেতাদের চিন্তা করা উচিত যে এই ধরনের নীতি কোথায় নিয়ে যায়।”
এছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আশা করে ব্রিটেনে ‘আরও পেশাদার লোক’ ক্ষমতায় আসবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে যিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশি দৌড়ঝাঁপ করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ভাষায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তিনি হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দুইবার আকস্মিক কিয়েভ সফর করেন তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স, ইউএসনিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম