ইক্রেনের দীর্ঘ-পাল্লার আক্রমণ এবং পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে রাশিয়া কঠোর প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু, বিশেষ করে কিয়েভের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে দীর্ঘ-পাল্লার পশ্চিমা মিসাইল দিয়ে আক্রমণের জবাব আমরা অবশ্যই দেব। ইতোমধ্যে ওরেশনিক হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এটি আরও পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাশিয়ার দাবি, গত ১৯ নভেম্বর ইউক্রেন প্রথমবারের মতো আমেরিকার তৈরি এটিএসিএমএস ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে। এর জবাবে, ২১ নভেম্বর রাশিয়া তাদের নতুন ওরেশনিক মিসাইল ইউক্রেনের দনিপ্রো শহরে নিক্ষেপ করে। এরপর ২৩ এবং ২৫ নভেম্বর ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে আরও আক্রমণ চালিয়েছে বলে মস্কো অভিযোগ করছে।
পুতিন জানান, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জেনারেল স্টাফ বর্তমানে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা এবং শিল্প উদ্যোগ, এমনকি কিয়েভের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রে আঘাত করার পরিকল্পনা তৈরি করছে।
রাশিয়া এখন পর্যন্ত কিয়েভের সরকারি ভবনে আক্রমণ চালায়নি। তবে পুতিনের মতে, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও ওরেশনিক মিসাইল প্রতিরোধ করতে এটি অক্ষম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের ক্ষমতা ন্যাটো জোটের তুলনায় দশগুণ বেশি। এ উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। পুতিনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, রাশিয়া প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য এবং পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে নতুন কৌশল নিচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল