আসন্ন ঈদুল আজহায় ভেড়া কুরবানি না করতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মেদ। খরার কারণে গৃহপালিত পশুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বছর জুন মাসে ঈদুল আজহা পালিত হবে। মরক্কোর বেশিরভাগ মুসলিম সাধারণত ভেড়া কুরবানি দেন। এছাড়া কেউ কেউ ছাগল, উট ও গরুও কুরবানি করে থাকেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে মরক্কোতে যে পরিমাণ ভেড়া ছিল, ২০২৫ সালে এসে সেই সংখ্যা ৩৮ শতাংশ কমেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় খরা দেখা দিয়েছে, যা গৃহপালিত পশুর খাদ্য সংকট তৈরি করেছে।
রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের পক্ষ থেকে দেশটির ধর্মমন্ত্রী আহমেদ তৌফিক এক বিবৃতিতে বলেন, “ধর্মীয় আচার পালনে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে জলবায়ু ও অর্থনৈতিক বাস্তবতাও বিবেচনায় নিতে হবে। জলবায়ুর পরিবর্তন গৃহপালিত পশুর ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।”
বর্তমানে মরক্কোয় বৃষ্টির পরিমাণ গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, যা পশুর খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে। ফলে মাংস উৎপাদন কমেছে, দাম বেড়েছে এবং আমদানি বাড়ছে।
পশুর ঘাটতি মোকাবিলায় মরক্কো সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ লাখ ভেড়া আমদানির চুক্তি করেছে। একই সঙ্গে মাংসের দাম সহনীয় রাখতে আমদানিকৃত পশুর ওপর ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তবে ভেড়া কুরবানি না করার আহ্বানে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। জনগণ এই নির্দেশনা কতটা মানবেন, তা বোঝা যাবে ঈদুল আজহার সময়।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
বিডি প্রতিদিন/আশিক