পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার আকাইপুরে একটি শৌচাগারে পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞজিত মণ্ডল। তারা আকাইপুরেরই বাসিন্দা এবং সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। শুধুই তা-ই নয়, পাকিস্তানি পতাকার নীচে ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’ এবং ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার উদ্দেশ্যেও ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন ওই দুই অভিযুক্ত। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ জেলার গোপালনগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বনগাঁ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “দুই ব্যক্তি পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে ভারতবিদ্বেষী স্লোগান তোলার পরিকল্পনা করছিল। এলাকায় অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে ওই পরিকল্পনা করেছিল তারা। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাদের। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তারা দু’জনই সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য।”
এদিকে, পাকিস্তানের পতাকা লাগানোর ঘটনায় যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ, তারা বিজেপি কর্মী বলে দাবি করলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি দাবি করেন, যে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে, তারা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। শান্ত এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তারা। এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল জানিয়েছেন, এই পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় পতাকার অবমাননা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ একজন সনাতনী পাকিস্তানের পতাকা রাস্তায় লাগিয়ে দেওয়ার পরে সেখানে সবাই হাঁটছে, তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ অন্যায় করছে। সূত্র: আনন্দবাজার, নিউজ১৮
বিডি প্রতিদিন/একেএ